ইসলামী শরীয়তে হালাল পশুর মাংস হালাল করার জন্য নানা বিধি-বিধান রয়েছে । এখানে বিশেষ করে কুরবানীর পশু যবেহ করার বিধান উল্লেখ করা হলো।
কুরবানীর পশু যাবেহ করার সময় ঈদের দিন ঈদের নামাজের পর থেকে শুরু হয়। এবং ১৩ ই জিলহজ্জের সূর্য ডোবার আগ পর্যন্ত কুরবানী করা যায়। ঈদের নামাজের আগে জবেহ করা হলে কুরবানী বাতিল হয়ে যাবে। যাবেহ করার সময় সর্বপ্রথম ভালরূপে ছুরি ধার দিতে হবে । পশুকে বাম কাতে কেবলা মুখে শয়ন করানো ভালো । ডান হাতে ছুরি ধরে বাম হাত দিয়ে পশুর মাথা চেপে ধরা যেতে পারে । ছুরি চালানোর পূর্বে ” বিসমিল্লাহ ” বলতে হবে ।যেহেতু মহান আল্লাহ বলেন, ” যদি তোমরা তার নিদর্শনসমূহের বিশ্বাসী হও তবে যাতে ( জবেহ করার সময় ) আল্লাহর নাম নেয়া হয়েছে তা আহার করো । ( সূরা আনআম ১১৮ আয়াত )। মহানবী সাঃ বলেন , ” যা রক্ত বহায় এবং যাতে আল্লাহর নাম নেওয়া হয়, তা ভক্ষণ করো । ” সহিহ বুখারী ২৩৫৬ ) কোরবানির পশুর কোন অংশ বিক্রি করা যাবে না, চামড়া বিক্রি করে তা সাদকা করে দিতে হবে । এছাড়া জবেহ করার কাজে কাউকে টাকা দিলে আলাদাভাবে দিতে হবে । যদি কসাই এর সাহায্যে কাটাকাটি করা হয় তাহলে তার মজুরী আলাদা দিতে হবে। এক্ষেত্রে মাংস উপহার স্বরূপ দেয়া যেতে পারে। যে কুরবানী করতে জানে ও পারে সে নিজের কুরবানী নিজে করলেই তা হবে উত্তম। তবে একাজ অপরের মাধ্যমেও করানো যেতে পারে , যেহেতু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ৬৩ টি উট নিজ হাতে নাহার করেছেন। বাকি উট গুলো নহর করার জন্য আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুকে নায়েব বানিয়েছেন । কোরবানির গোশত কুরবানীদাতা নিজে খাবেন, আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশী কে উপহার দেবেন এবং গরীব মিসকিনদের দান করবেন।