কিছুদিন পর কি হবে ঈদুল আযহা। প্রতিবছর জিলহজ্ব মাসের ১০,১১ও ১২ তারিখে বিশ্বের মুসলমানগন হযরত ইব্রাহিম আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত হিসাবে পশুর কুরবানী করেন। কুরবানী করার আগে আমাদের নিয়ত সহিহ করা প্রয়োজন। কেননা নিয়তের উপরই কর্মফল নির্ভরশীল। ইখলাসের সাথে অর্থাৎ একমাত্র ও শুধুমাত্র আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীনের সন্তুষ্টি জন্য কুরবানী করা উচিত।
কেউ যদি লোক দেখানো বা অন্য কোনো উদ্দেশ্যে ইবাদত করে তাহলে সে ইবাদত আল্লাহর দরবারে কবুল হবে না যেমন দুনিয়ার কোনো স্বার্থ হাসিল করা ,টাকা পয়সা উপার্জন করা, আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে খুশি করা , সমাজের মানুষ দানশীল বলুক , ধার্মিক বলুক, এমন বাসনা মনের মধ্যে লুকিয়ে রেখে বড় বড় পশু কুরবানী করলে তারা ” রিয়া ” বা লোক দেখানো কুরবানী বলে গণ্য হবে।
” কুরবানী ” শব্দটি আরবি কুরবানুন শব্দ থেকে এসেছে। এর অর্থ নৈকট্য, বিসর্জন , উৎসর্গ ও ত্যাগ । সমাজে শ্রেষ্ঠত্ব লাভের আকাঙ্খা , সমাজে দুর্নাম এর ভয় , সমাজের কাছে স্বার্থ প্রাপ্তির প্রত্যাশায় মানুষ সাধারণত লোক দেখানো ইবাদত করে থাকে। রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন , আমি তোমাদের ব্যাপারে ছোট শিরক থেকে খুব ভয় করছে । সাহাবাগণ বললেন ইয়া রাসুলাল্লাহ , রাসূলুল্লাহ ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) ছোট শিরক কি ? তিনি বললেন , তা হচ্ছে রিয়া বা লোক দেখানো ইবাদত। কেয়ামতের দিন হাশরের ময়দানে রিয়া কারীদেরকে আল্লাহ বলবেনঃ যাও দুনিয়াতে যাদেরকে দেখানোর জন্য আমল করতে তাদের কাছে যাও। দেখো তাদের কাছ থেকে কোন পুরস্কার পাও কিনা। কোরবানি একটি আর্থিক ইবাদত। আমরা দৈহিক ও আর্থিক এবং দুটোর সমন্বয়ে পবিত্র হজ্ব সম্পাদন করি শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য । কেননা আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন মুমিনদের অভিভাবক এবং পথপ্রদর্শক। সক্ষম মুসলমান কুরবানী আদায় করবেন।এ ইবাদত করতে হয় প্রকাশ্যে। তাই সমাজের লোকজন দেখা স্বাভাবিক আর কিছু কিছু ইবাদত আমরা গোপনে করতে পারি। যেমন শেষ রাতে উঠে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করা যা, কেউ দেখেনা। তাই আমাদের রিয়া মুক্তভাবে কুরবানী করা উচিত।
0 ভিউ