কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালের টিকাকেন্দ্র গুলোতে বাড়ছে মানুষের সমাগম। করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সকাল থেকেই কেন্দ্রে আসছেন টিকা প্রত্যাশিরা। আজ ৭ আগষ্ট, শনিবার সকালে সালাহউদ্দিন মোড় পর্যন্ত দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকা নিচ্ছেন তারা। তবে এ সময়ে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। এতে উল্টো করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, যারা স্বাস্থ্যবিধি মানছে না তাদের টিকা দেয়া হচ্ছে না। কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে শনিবার সকাল ১১টায় দেখা যায়, কেন্দ্রের সামনে হাজার হাজার মানুষ গাদাগাদি করে লাইনে দাড়িয়ে আছে।
অপেক্ষায় থাকা মুরাদপুরের বাসিন্দা ইকবাল হোসেন এর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিনি বলেন, জেলায় করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় টিকা নিতে এসেছি। কিন্তু মানুষের ভিড়ের কারণে এখন করোনা সংক্রমিত হওয়ার ভয়ে আছি। নগরীর অশোকতলা এলাকার ফারজানা আক্তার বলেন, ’অনেক মানুষ আইছে টিকা নিতে।এতো মানুষের কারণে আবার নি আমারও করোনা হইয়া যায়, চিন্তায় আছি। টিকাদানকেন্দ্রে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে রয়েছেন আর্ন্তজাতিক সংস্থা রেডক্রিসেন্টের সদস্যরা।
সংস্থাটির একাধিক স্বেচ্ছাসেবক জানান, এভাবে টিকা নিলে অনেকেই নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন। মানুষের ভিড় সামাল দিতে তাদের বেগ পেতে হচ্ছে। কে আগে টিকা নিবে সেটা নিয়ে প্রতিযোগিতা চলছে। মাইকে বার বার তাদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে সতর্ক করলেও কেউ তা শুনছেন না।
এ বিষয়ে কুমিল্লা সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসাইন জানান, কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে ২০টি বুথে টিকাদান চলছে। টিকা গ্রহীতাদের বার বার মাস্ক পড়ার কথা বলা হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মানতে উৎসাহিত করার পরই টিকা দেয়া হচ্ছে। যারা মাস্ক পড়েনি বা সামাজিক দূরত্ব মানছে না তাদের টিকা দেয়া হচ্ছে না। এ পর্যন্ত জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩ হাজার ৩৫০ জন,সুস্থ হয়েছেন ১৭ হাজার ৮৪১ জন। মারা গেছেন ৭৮৬ জন।