কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের ঘোলপাশা ইউনিয়নের আমানগন্ডা ও শালুকিয়া এলাকায় গত শুক্রবার বিকালে ভয়াবহ টর্নেডোর আঘাতে আমানগন্ডা-শালুকিয়া গাউসিয়া তৈয়্যবিয়া তাহেরিয়া সুন্নিয়া মাদরাসাটি লন্ডভন্ড হয়ে যায়। এ সময় প্রবল বেগের ঝড়ো হাওয়ায় প্রতিষ্ঠানের চেয়ার-টেবিল, বইপত্র, খাদ্য সামগ্রীসহ আসবাবপত্রগুলোও একেবারে নষ্ট হয়ে যায়। এতে মাদরাসার প্রায় ২০০ জন কোমলমতি শিক্ষার্থীর পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।
১৭ মে (মঙ্গলবার) সকালে সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা গেছে, ঘুর্ণিঝড়ের আঘাতে প্রতিষ্ঠানের দু’টি টিনসেড ঘর ও একটি টিনসেড রান্নাঘর একেবারেই দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। এ সময় শ্রেণিকক্ষে থাকা চেয়ার-টেবিলসহ প্রয়োজনীয় আসবাবপত্রগুলো ভেঙ্গে নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া প্রায় ৬০ জন আবাসিক এতিম শিক্ষার্থীর বই, বিছানাপত্র, চাল-ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রীগুলো ভিজে নষ্ট হয়ে যায়। এতে এতিম শিক্ষার্থীদের থাকা-খাওয়ায় মাদরাসা কর্তৃপক্ষকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এদিকে প্রতিষ্ঠান প্রধান,অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আন্তরিক প্রচেষ্টায় শ্রেণি পাঠদান শুরু হলেও তা চলছে খোলা আকাশের নীচে। রোদের প্রখরতা আর বর্ষা মৌসুমের ভারী আকাশের কান্নায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে । শ্রেণি পাঠদানের সুবিধার্থে এখনই প্রতিষ্ঠানের ভবনগুলো পূণনির্মাণ করা অতীব জরুরী হয়ে পড়েছে। এছাড়া টর্নেডোর আঘাতে নষ্ট হয়ে যাওয়া আসবাবপত্রগুলোও মেরামত ও নতুন আসবাবপত্র তৈরীতে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। প্রবাসীসহ সমাজের বিত্তবানদের নিকট সহায়তার আবেদন জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের সভাপতি মো: আলমগীর হোসেন মজুমদার, সেক্রেটারী মো: খোকন মিয়া ও প্রতিষ্ঠান প্রধান মাওলানা জহিরুল ইসলাম। সাহায্য পাঠাতে পূবালী ব্যাংক চৌদ্দগ্রাম, কুমিল্লা শাখার ৩৮৫০১০১০৪০২০৫ এই অ্যাকাউন্ট নম্বরে অথবা নিম্নোক্ত নম্বরগুলোতে ০১৭৪৯৪৭৮০১২ মাওলানা জহিরুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠান প্রধান, ০১৮১৭০৬৭৩০৩ ,আলমগীর হোসেন মজুমদার, সভাপতি।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার বিকালে উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের শালুকিয়া ও আমানগন্ডা গ্রামে সাতপুকুরিয়া পাথর থেকে সৃষ্ট একটি ঘুর্ণিঝড় হঠাৎ করে ধমকা হাওয়া রূপ ধারন ওরকরে আঘাত হানে। এ সময় ঘুর্ণিঝড়ের প্রবল আঘাতে আমানগন্ডা পশ্চিম পাড়ার একটি পাঞ্জেগানা মসজিদ ও আমানগন্ডা-শালকিয়া গাউসিয়া তৈয়্যবিয়া তাহেরিয়া সুন্নিয়া মাদরাসাসহ কমপক্ষে স্থানীয় অসহায় লোকজনের প্রায় ৪০টি বাড়ীঘর লন্ডভন্ড হয়ে যায়। টর্নেডোর আঘাতে টিনসেড ঘরসহ বিভিন্ন গাছপালা ভেঙ্গে পড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘরগুলো কমপক্ষে কয়েকশ’ গজ দূরে গিয়ে ছিটকে পড়ে। তবে, এ ঘটনায় কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি বলে চৌদ্দগ্রাম ফায়ার সার্ভিস নিশ্চিত করেছে।
0 ভিউ