কোরবানির ঈদে গরুর মাংসের হরেক রকম আইটেম রান্না হয়। সঙ্গে পোলাও-কোরমা তো থাকেই। দৈনিক গরুর মাংস খাওয়ার নিরাপদ মাত্রা হলো ৩ আউন্স বা ৮৫ গ্রাম। অতিরিক্ত খাওয়ার কারণে হতে পারে গ্যাস, বদহজম, পেট ফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্যসহ নানা সমস্যা। কোষ্ঠকাঠিন্য এড়াতে সকালে ৪০০ মিলিলিটার পানি খেলে তা বিপাকক্রিয়ার হার বাড়ায়। এছাড়া সকালে খালি পেটে লেবু–আপেল সিডার ভিনেগার –পানি খেলে সারা দিনে আপনি যা খান, তা সহজে হজম হয়। সকাল খালি পেটে চা –কফি খেলে পানি শূণ্যতা হতে পারে। পেটেরে সমস্যা সমাধানে যা যা করবেনঃ
পেটে গ্যাস বা পেট ফাঁপা:
প্রতিবেলা মাংস খাওয়ার পর এক টুকরা আদা মুখে নিয়ে চিবিয়ে খান। পেটে গ্যাস জমবে না। কাঁচা আদা চিবিয়ে খেতে না পারলে আদার চা পান করুন। গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা হলেই ওষুধ খাবেন না। হালকা গরম পানিতে আধা কাপ লেবুর রস মিশিয়ে খান, ব্যথা কমে যাবে।খাবার খাওয়ার মাঝখানে পানি পান করবেননা। এতে খাবার ভালো হজম হয় না বরং গ্যাসে পেট ফেঁপে যায়। খাওয়ার আধা ঘণ্টা পর পানি পান করুন। কাঁচা রসুন পেট ফাঁপা সমস্যায় উপকারী। কয়েক কোয়া কাঁচা রসুন চিবিয়ে খান। পেট ফাঁপা কমে যাবে।পানি ছাড়া ১ টেবিল চামচ আদার রস, ১ টেবিল চামচ লেবুর রস ও ১ চিমটি হিমালয়ান পিংক সল্ট ভালো করে মিশিয়ে খান। সঙ্গে সঙ্গে কাজ হবে। লবণ দিয়ে আদা কুচি চিবিয়ে খেলেও উপশম হবে।
**বদহজম:
বেকিং সোডা বদহজমের সমস্যা দূর করতে খুবই কার্যকর। আধা গ্লাস পানিতে আধা চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে পান করুন। বদহজমের সমস্যা দূর হবে। কুসুম গরম পানিতে সামান্য হিমালয়ান পিংক সল্ট মিশিয়ে পান করলে বেশ উপকার পাবেন।
**কোষ্ঠকাঠিন্য
মাংসের পাশাপাশি কাঁচা সালাদ ও সবজি খাবেন। প্রতি বেলায় ১ বাটি পরিমাণ সালাদ বা সবজি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে রেহাই পাবেন। অতিরিক্ত পরিমাণ মাংস খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা হতেই পারে। রাতে ঘুমানোর আগে এবং সকালে ঘুম থেকে উঠে চিয়া বীজ ভিজিয়ে খাবেন। ১ গ্লাস পানিতে ১ টেবিল চামচ চিয়া সিড মিশিয়ে সঙ্গে সঙ্গে পান করুন।
একটা বড় সাদা এলাচ ১ কাপ গরম দুধে সারা রাত ভিজিয়ে রেখে সকালে এলাচটি থেঁতলে দুধসহ খেয়ে নিন। বেশি সমস্যা হলে দিনে দু’বার খাবেন।* পাকা কলা: পাকা কলা কোষ্ঠকাঠিন্য সহজে দূর করতে পারে। কারণ কলায় প্রচুর আঁশ থাকে যা এই সমস্যা সহজে দূর করতে পারে। কলার আঁশ শরীরের বৃহৎ অন্ত্র থেকে পানি শোষণ করে। এতে মল নরম হয়। কোষ্ঠ কাঠিন্য হলে কফি খেতে পারেন।
মাংস অবশ্যই খাবেন, সেই সঙ্গে সালাদ ও শাক-সবজি রাখুন। তার পরও সমস্যা হতেই পারে। কোরবানির ঈদে সবারই ইচ্ছা করে বেশি করে মাংস খেতে। খাবারের তালিকায় থাকে বিভিন্ন রকমের মাংসের পদ। কিন্তু অনেকেই একসঙ্গে প্রচুর পরিমাণ তৈলাক্ত বা চর্বিযুক্ত খাবার খেয়ে হজম করতে পারেন না।
ঈদে পেটের সমস্যার ঘরোয়া সমাধান//মমিন মোল্লা

