আরাফাতের দিন একটি মহানতম দিন। এই দিনটি মুসলমানদের গর্বের ধন। এটি হল মুসলমানদের বিশ্ব সম্মেলন। আরাফার দিন মহান প্রতিপালকের কাছে অনুনয়-বিনয় করে কান্না করার দিন। বিশ্ব-জাহানের অধিভুক্তির ভয়ে ভীত হওয়ার দিন। এদিন দু’আ কবুল হয়ে থাকে । এই দিন বান্দার গুনা খাতা মাফ হয়। হজ্ব করতে আসা আরাফার ময়দানে উপস্থিত হাজীদের কে নিয়ে মহান আল্লাহ তাদের নিকট গর্ব করে থাকেন । যারা হজ্জে সমবেত হয়নি তারাও এ দিনের ফজিলত থেকে বঞ্চিত হবেন না। আরাফাতের দিন গৃহবাসী অথবা হজ করতে যাননি এমন লোকরা আরাফাতের ফজিলত সম্পর্কে জেনে নিবেন। এই দিনটির সকল সময়ে মুসলমানরা ইবাদত মশগুল থাকতে পারেন অন্যান্য রাতের মত এড়াতে নামাজ পড়ুন এবং দিনে নানা প্রকার ইবাদত করুন । সাংসারিক কর্ম ব্যবস্থা ব্যস্ততা অন্য দিনের জন্য পিছিয়ে রাখুন। আরাফার দিনে মহান স্রষ্টা আদম সন্তানের নিকট অঙ্গীকার গ্রহণ করেছেন।
ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু কর্তৃক বর্ণিত- রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন – নিশ্চয়ই আল্লাহ আদমের পৃষ্ঠদেশ হাতে অঙ্গীকার গ্রহণ করেছেন । তিনি আদমের পৃষ্ঠ হতে প্রত্যেক সৃষ্ট বংশধরকে বের করে তার সামনে পিঁপড়ের মত ছড়িয়ে দিলেন। অতঃপর তিনি তাদের সাথে সামনাসামনি কথা বললেন। আমি কি তোমাদের প্রতিপালক নই ? তারা বললো নিশ্চয়ই। আমরা সাক্ষী রইলাম। ( সূরা আরাফ ১৭২ আয়াত )। এ দিনে রোজা রাখুন যেহেতু মহানবী সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতি অধিক যত্নবান হতে অতিরিক্ত বৈশিষ্ট্যের কথা ঘোষণা করেছেন সে দিনে রোযা রাখার বিশেষ মাহাত্ম্য বর্ণনা করেছেন। এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হলে তিনি বলেছিলেন, এদিনের রোজা গত ও আগামী বছরের গুনাহ মোচন করে দেয়। ( মুসলিম ) অবশ্যই এ রোজা অহাজীদের জন্য সুন্নাত। হজ পালন করতে আসা কোন ব্যক্তির জন্য এ রোজা সুন্নত নয়। যেহেতু মহানবী সাঃ হজ করা অবস্থায় রোজা রাখেননি। বরং
আরাফায় অবস্থানকারী হাজীদের আরাফার রোজা রাখতে তিনি নিষিদ্ধ করেছেন। সুতরাং হজ করতে না গেলে আরাফার রোজা রাখার ব্যাপারে কোন প্রকার শৈথিল্য প্রকাশ করা যাবে না। যেহেতু এ রোজা হলো সুন্নাতে মুয়াক্কাদা। এর মাধ্যমে আল্লাহ আপনার আগের ও পারের দু বছরের গুনা খাতা মাফ করে দিবেন এবং আপনার মর্যাদা উন্নীত করবেন। তাই এই দিনই বেশি বেশি দোয়া করুন।
0 ভিউ