এখন আর বাইজিদের নাচের ঝংকার ওঠে না, নেই পাইক- পেয়াদা , হাতিশালে হাতি নেই, ঘোড়াশালে নেই ঘোড়া ,মন্দিরে ও নিয়মিত ঘন্টা বাজে না। তেমনি দুরাবস্থার শিকার মুরাদনগরের দুইরা গ্রামের দুইরা ওঙ্কার মন্দির। তবে জনসাধারণ একে লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দির হিসেবেই চিনে। হিন্দু ধর্মের প্রবীণ ব্যক্তিরা জানান, জমিদার কাশীনাথ ভৌমিক এ মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। ১৩০৪ বঙ্গাব্দে এর ভিত্তি স্থাপিত হয়। মন্দিরটি আয়তনে ১৬ফুট দৈর্ঘ্য এবং ১২ ফুট প্রস্থ ।এটি ইট দিয়ে তৈরি। গঠনশৈলী অসাধারণ। দেয়ালের গায়ে দেবদেবীর মূর্তি রয়েছে।
মন্দিরটিতে আগে শ্রী শ্রী লক্ষ্মী নারায়ণের বিগ্রহ থাকলেও বর্তমানে রয়েছে এবং ওঙ্কার বিগ্রহ। তবে পাথর বা মাটির তৈরী নয় আঁকা ছবি। মন্দিরের পাশেই ছিল জমিদারের বাসভবন। এটি জীর্ণশীর্ণ। উত্তরাধিকার স্বপন কুমার ভৌমিক জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল ট্রাজেডির ঘটনার পর এ ভবনে কেউ থাকেনা।
তথ্য সূত্রে জানা যায় কাশীনাথ ভৌমিকের জমিদারি এলাকা মোহাম্মদপুর, দিঘীরপাড় , শ্রীরামপুর বাইরা ,টনকী, ঘোড়াশাল, মহেশপুর, যাত্রাপুর প্রভৃতি স্থানে বিস্তৃত ছিল। স্বপন কুমার ভৌমিক তপন কুমার ভৌমিক মন্দিরের সেবা করেন। তথ্যসূত্র: সাপ্তাহিক আমোদ ৩০ এপ্রিল ২০০৯